প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে শুধু চীনেই ৩০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর চীনসহ বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৮০ জন। ভাইরাসটির ব্যাপকতা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে ভয়াবহতার দিক থেকে এটি ছাড়িয়ে গেছে ১৭ বছর আগের সার্স ভাইরাসকেও। তবে আশার খবর হলো, এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে এখন পর্যন্ত ৩২৮ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ২৫৯। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সেটি লাফিয়ে বেড়ে যায়। যে হুবেই প্রদেশ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারা গেছেন ২৯৪ জন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।
এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সানডিয়াগো ইনোভিয়োস ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। প্রতিষেধকটিকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে ‘আইএনও-৪৮০০’। সামনের গ্রীষ্মে এটি মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: