করোনা মহামারির মধ্যেও সম্পদ বেড়েছে ধনীদের | বিবিধ নিউজ

করোনা মহামারির মধ্যেও সম্পদ বেড়েছে ধনীদের

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দিশেহারা বিশ্ববাসী। কাজ হারিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। বাধ্যতামূলক ছুটি এবং লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। কিন্তু এর মধ্যেই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের। আবার নতুন করে ৬৬০ জন বিলিয়নিয়ারও হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দিশেহারা বিশ্ববাসী। কাজ হারিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। বাধ্যতামূলক ছুটি এবং লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। কিন্তু এর মধ্যেই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের। আবার নতুন করে ৬৬০ জন বিলিয়নিয়ারও হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে।

গত এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলার। নতুন এক প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য উঠে এসেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকা ও খালিজ টাইমসের। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস। এতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যেই বিশ্বে বেড়েছে এখন বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা। এই সংখ্যা এখন দুই হাজার ৭৫৫ জন। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় এই সম্পদ বেড়েছে আট লাখ কোটি মার্কিন ডলার। মূলত শেয়ারবাজারের চাঙা অবস্থান ও ক্রিপ্টোকারেন্সির উচ্চমূল্য বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। ফোর্বসের চিফ কন্টেন্ট অফিসার র‌্যানডাল লেন জানান, ‘পৃথিবীর অতি ধনীরা আরও আরও বেশি ধনী হয়েছেন।’ ধনকুবেরদের এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।

টানা চতুর্থবারের মতো তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এরপরই রয়েছেন স্পেসএক্স ও টেসলার মালিকা ইলন মাস্ক, বিলাসবহুল পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আরনল্ট, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। মঙ্গলবার ফোর্বসের ৩৫তম বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশিত হয়। তালিকা অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যেই বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বেড়েছে ৬৬০ জন। এক বছরে এতজন এই শত কোটি ডলারের ক্লাবে এর আগে কখনো ঢুকতে পারেননি। এবার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে ৪৯৩ জনই প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতি ১৭ ঘণ্টায় একজন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ার হয়েছেন।

দেশভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে, ৭২৪ জন।

তালিকায় এরপরই রয়েছে চীন। দেশটিতে শত কোটি ডলারের মালিক ৬৯৮ জন। ভারতে এ সংখ্যা ১৪০ জন। জার্মানিতে ১৩৬ জন। তালিকায় শীর্ষে থাকা আমাজনের মালিক বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলার। বেজোসের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন ডলার। ইলনের চেয়ে মাত্র এক বিলিয়ন ডলার কম নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট ও পরিবার। এক সময়ের বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও মাইক্রোসফট প্রধান বিল গেটস রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে। তার মোট সম্পদ ১২৪ বিলিয়ন ডলার।

৯৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন বাফেট। তার সম্পদের পরিমাণ ৯৬ বিলিয়ন ডলার।

সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে যথাক্রমে মার্কিন ধনকুবের ল্যারি এলিসন ও গুগলের ল্যারি পেজ রয়েছেন। ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৯৩ বিলিয়ন ডলার। আর ল্যারি পেজের সম্পদের পরিমাণ ৯১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ৮৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকায় নবম অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সের্গেই ব্রিন। দশম অবস্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ভারতীয় এ ধনকুবের মোট সম্পদ ৮৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের। এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি তিনি। গত এক বছরে এই দশজনেরই সম্পদ আগের তুলনায় বেড়েছে।