পূর্ব বিরোধেকে কেন্দ্র করে শাহ আলম হাওলাদার নামের এক শিক্ষকের বাম পা কর্তন করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে শনিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
আশংকজনক অবস্থায় শাহ আলম মাষ্টারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন সাইদ হাওলাদার, হোসেন হাওলাদার, তাইফুর হাওলাদার, হাসান খাঁ ও আব্দুর রহিম খোকন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও আহতের স্বজনরা জানান, বরিশাল শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহ আলম হাওলাদার শনিবার সকালে শিশু পুত্র আফ্রিদিকে নিয়ে মোস্তফাপুর গ্রামে ভগ্নিপতি মকবুল মাষ্টারের বাসায় দাওয়াত খেতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় তার ওপর। সন্ত্রাসীরা তার পুত্রের সামনে
বাম পায়ের গোড়ালির উপর দিয়ে কেটে ঝুলিয়ে দেয়। ডান পা, দুই হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ১০-১২ মিনিট ধরে সন্ত্রাসীরা এ নৃশংশ তাণ্ডব চালায়। এ সময় শাহ আলম মাষ্টার ও শিশু পুত্রের ডাক চিৎকার শুনে
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষনিক এলাকার লোকজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শংকর কুমার পাল জানান, আহত শাহ আলমের বাম পায়ের ৯০ ভাগ কেটে ফেলা হয়েছে। এ কারণে পা রক্ষা করা অসম্ভব। শরীরেও ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলী আহম্মেদ জানান, হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।