সরকারি কলেজ নেই এখন সব উপজেলায় একটি করে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সাল নাগাদ ৩০২টি কলেজ জাতীয়করণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর কমবেশি দুই বছর পেরিয়ে গেল এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতা পাচ্ছেন না। এই সময়ের মধ্যে অনেকে অবসর চলে গিয়েছেন কিন্তু পেনশন পাননি। বুধবার (৫ মে) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কথা অনুযায়ী যেদিন জাতীয়করণের গেজেট হয়েছে সেদিন থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। গেজেট জারির সময় থেকে যাঁদের বয়স ৫৯ বছরের মধ্যে ছিল তাঁরা সরে গেলেও সুবিধাদি পাবেন। তবে কবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে সেটা অনিশ্চিত। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকরণের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি। এখনো দফায় দফায় যাচাই-বাছাই চলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি দীর্ঘ সময় নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা তৈরি করেছে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিকতর যাচাই-বাছাই করে নথিপত্র পাঠাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। সপ্তাহে দুটির বেশি কলেজের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। এভাবে চললে পুরো কাজ শেষ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের গাফিলতিও আছে। জাতীয়করণের জন্য আরো ১৫টি কলেজের মধ্যে মিরপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ অন্যতম।
এখানকার এমপিও নন-এমপিও ডিগ্রি, অনার্স কোর্সের সব শিক্ষকের কাগজপত্র যথার্থ থাকার পরও মাসিক আয়-ব্যয়ের হিসাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা। কাজ সহজ ও দ্রুত হওয়ার কথা। বাস্তবে কাজ চলছে শম্বুক গতিতে। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃক কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাম্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক