চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের দর্শনের শিক্ষিকা পাপিয়া শারমিন ইতির নির্যাতনে তার গৃহপরিচারিকা লিলি খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের এক পর্যায়ে জোর করে চলন্ত মিশুক থেকে ফেলে দিলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিযোগকারীরা। চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার সকালে নির্যাতন ও রোববার (৪ নভেম্বর) বিকেলে মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। কলেজ প্রভাষিকা ইতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের শ্যালিকা বলে জানা গেছে।
নিহত লিলি খাতুনের ছেলে শাহেদ আলী বলেন, তার মা লিলি খাতুন (৫০) দুই সপ্তাহ পূর্বে মাসিক ২ হাজার টাকা চুক্তিতে জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষিকা পাপিয়া শারমিন ইতির জীবননগর উপজেলা শহরের একটি ভাড়া বাসায় গৃহপরিচালিকার কাজে যোগ দেন। যোগদানের পর হতে ইতি লিলি খাতুনের কাজে নাখোশ ছিলেন। ফলে তিনি তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন।
গত শুক্রবার লিলি খাতুন অগ্রিম টাকা নিয়ে আন্দুলবাড়িয়ার বাড়িতে যান। শনিবার সকালে অনেকটা জোর করে গৃহকর্মীর আন্দুলবাড়িয়ার বাড়ি থেকে মিশুকযোগে নিয়ে আসার পথে মিশুকের মধ্যে উভয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পথিমধ্যে দেহাটি কনটেক মিলের নিকট এলে ইতি লিলি খাতুনকে মিশুক হতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন লিলি খাতুন মারাত্মকভাবে আহত হন।
লিলিকে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার বিকেলে মাইক্রোবাসযোগে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষিকা পাপিয়া শারমিন ইতি সাংবাদিকদের বলেন, গৃহপরিচারিকা লিলি খাতুন আমার সঙ্গে মিশুকে আসছিলেন এ কথা ঠিক। তবে আমি তাকে মিশুক হতে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছি কথাটি সঠিক নয়। আমি এমপি সাহেবের শ্যালিকা হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।’