অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই অবরুদ্ধ সংখ্যালঘু পরিবারটি মুক্তি পেয়েছে। মঙলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে সেই কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে তাদের মুক্ত করেন।
এর আগে গত শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদর্শী গ্রামে প্রভাবশালী দখলদাররা একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করে বাড়ির চারপাশে পাকা পিলারের খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারসহ কয়েকটি মুসলিম পরিবার। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের।
এ সময় পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান, পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আমিনুর রহমানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, উপজেলার তালদর্শী গ্রামের অশোক কুমার দে’র সঙ্গে পার্শবর্তী চরখামা গ্রামের কুতুব উদ্দীন পাঠান গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এর জের ধরে গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুতুব উদ্দীন পাঠানের তিন ছেলে মাজহারুল হক পাঠান, আমিনুল হক পাঠান ও মামুন পাঠান এর নেতৃত্বে ৫০-৬০জনের একটি দল জোরপূর্বক বিরোধপূর্ণ ওই জমি দখল করে নেয়। পরে তারা ওই জমির চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। এতে অশোক কুমার দে’র পরিবারসহ আশপাশের কয়েকটি মুসলিম পরিবারের শতাধিক লোক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।