কারিকুলামের সাথে শিক্ষাদানের সম্পর্ক খুবই শিথিল! - দৈনিকশিক্ষা

কারিকুলামের সাথে শিক্ষাদানের সম্পর্ক খুবই শিথিল!

মাছুম বিল্লাহ |

একজন শিক্ষার্থী কি পড়বে, কে পড়াবে, কোথায় পড়বে, কতদিন পড়বে, কীভাবে পড়বে, শিখন সামগ্রী কিরূপ হবে, কি ধরনের শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশনার সমষ্টিতে শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়। একটি শিক্ষাস্তর সমাপ্ত করে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণীক স্তর কি হবে তা পূর্বেই নির্ধারণ করে নিতে হয়। এ সব কিছুই শিক্ষাক্রমের অন্তর্গত। জাতীয় চাহিদার ভিত্তিতেই একটি দেশে শিক্ষাক্রম গড়ে ওঠে আর জাতীয় চাহিদার মূলে থাকে জাতীয় জীবন দর্শন। অতএব বলা যায়, একটি জাতির জীবন দর্শনের মধ্যেই সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাক্রমের কাঠামো ও প্রকৃতি নিহিত থাকে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এগুলোর চেয়ে এখন গুরুত্ব পাচ্ছে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন এবং গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়। আর তাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিদ্যালয়, অভিভাবক সবাই মিলে পরীক্ষায় কি আসবে, কীভাবে উত্তর লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয় নিয়েই ব্যস্ত। শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য শিক্ষার্থীর সামগ্রিক জীবনের বিকাশ সাধন, পক্ষান্তরে পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীর একটি বিশেষ দিকের বিকাশ সাধন করে থাকে। শিক্ষার্থীদের অর্জন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে শিখণ-শেখানো কার্যক্রম ও মূল্যায়নে বৈচিত্র আনা প্রয়োজন।

কারিকুলাম কথাটি ল্যাটিন শব্দ Currere থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো দৌঁড়ানো বা ঘোড় দৌঁড়ের নির্দিষ্ট পথ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাক্রম বলতে মূলত ‘কোর্স অব স্টাডিকে’ বোঝানো হতো। শিক্ষাক্রমকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্ত, কোর্স সীমারেখা, শিক্ষক নির্দেশিকা বই উৎপাদিত সামগ্রী হিসেবে দেখা হতো। শিক্ষাক্রমের এই প্রাচীন ধারণ ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আমেকিায় প্রচলিত ছিল। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে শিক্ষাক্রমের প্রাচীন ও সংকীর্ণ ধারণার পরিবর্তন হয় এবং শিক্ষাক্রমের সংজ্ঞা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। এ সময় শিক্ষাক্রম বলতে বিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত সব শিখন অভিজ্ঞতার সমষ্টিকে বুঝানো হল। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্যাসওয়েল এবং ক্যাম্পবেল  শিক্ষাক্রমের সনাতন ধারণার অবসান ঘটিয়ে আমেরিকায় একটি নতুন সংজ্ঞার প্রস্তাব করেন এবং সেটি হচ্ছে, ‘শিক্ষাক্রম হলো শিক্ষকের পরিচালনায় শিক্ষার্থীর অর্জিত সব অভিজ্ঞতা’। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি শিক্ষার্থীর জীবনে বিদ্যালয়ের প্রভাব প্রকটরূপে দেখা দিল। এর ফলে ষাটের দশকে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন ও পরিবর্তনের ব্যাপারে আমেরিকায় অনেক শিক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু শিক্ষাবিদ শিক্ষাক্রমকে শিখণ পরিকল্পনা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন এবং এই প্রসঙ্গে টাবা বলেন,  'A Curriculum is a plan for learning.' আধুনিক শিক্ষাক্রমের প্রবক্তা Ralph Tylor ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষাক্রমের একটি ধারণা দেন। এর মূল কথা হচ্ছে-‘শিক্ষার্থীদের সকল শিখন যা শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিদ্যালয়ের দ্বারা পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয় তাই শিক্ষাক্রম’।(All the learning of students which is planned by and directed by the school to attain its educational goals.) তিনি চারটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষাক্রমের ধারণাটি স্বচ্ছ করার চেষ্টা করেন। প্রশ্নগুলো হচ্ছে (ক) শিক্ষা কি কি উদ্দেশ্য অর্জন করবে (খ) কী কী শিখন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বিদ্যালয় উল্লেখিত উদ্দেশ্য অর্জন করবে (গ) এ সকল শিখণ অভিজ্ঞতা কী উপায়ে সংগঠন ও বিন্যাস করা যাবে এবং ( ঘ) উদ্দেশ্যগুলো অর্জিত হয়েছে কি না তা কীভাবে যাচাই করা যাবে।
 
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পোফাম ও বেকার শিক্ষাক্রমকে বিদ্যালয়ের সেই সব পরিকল্পিত শিখন ফল হিসেবে উল্লেখ করেন, যা অর্জনের দায়দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ওপর বর্তায়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ লটন শিক্ষাক্রমের উপাদান নির্বাচনের ব্যাপারে সামাজিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, 'Curriculum is essentially a selection from the culture of a society.' আশির দশকে এসে লক্ষ্য করা যায়, ‘পরিকল্পনা’ ও ‘অভিজ্ঞতা’ ধারণা দুটিকে সমন্বিত করে শিক্ষাক্রমের একটি সুন্দর সংজ্ঞা রচনা করেছেন দু’জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তারা হলেন মার্শ ও স্ট্যাফোর্ড। তাদের মতে 'Curriculum is an interrelated set of plans and experiences which a student completes under the guidance of the school.' শিক্ষাক্রম হলো শিক্ষার একটি বিশেষ স্তরের (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ইত্যাদি) শিক্ষণীয় বিষয়ের সমষ্টি বা পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু, শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন কৌশল, বিভিন্ন উপকরণ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মসূচি সব কিছুই শিক্ষাক্রমের অন্তুর্ভুক্ত হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়স ও শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কী জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হবে- তার সামগ্রিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল হচ্ছে শিক্ষাক্রম বা কারিকুলাম। কারিকুলাম হচ্ছে সমগ্র শিক্ষা কার্যক্রমের রূপরেখা। কারিকুলামের লক্ষ্য জাতীয় দর্শন, রাষ্ট্রীয় নীতি, জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিবেশ এবং চাহিদা ও উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তার আলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রণীত হয়। এর লক্ষ্য থাকে অনেক ব্যাপক। এসব লক্ষ্য অর্জন করার জন্য অনেকগুলো সাধারণ উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয় এবং কোন কোন বিষয়বস্তুর মাধ্যমে অর্জন করতে হবে, তা নির্ধারণ করা হয়। এখান থেকেই নির্ধারণ করা হয় বিষয়ভিত্তিক উদ্দেশ্য। বিষয়ভিত্তিক উদ্দেশ্যসমূহকে আবার স্তরভিত্তিক উদ্দেশ্যে বিন্যাস করা হয়। অতপর স্তরের ওপর ভিত্তি করে বিষয়ভিত্তিক উদ্দেশ্যকে অজর্ন করার জন্য নির্ধারণ করা হয় শিখন ফল। একজন শিক্ষার্থীর বুদ্ধিবৃত্তীয়, আবেগীয় ও মনোপেশিজ ক্ষেত্রসমূহ বিবেচনা করে বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও শিখণ ফল প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট স্তর অনুযায়ী কী অর্জন কররে- তার সুনির্দিষ্ট বর্ণনাই হল শিখন ফল। শিখণ ফলগুলো  সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য ও মূল্যায়নযোগ্য হতে হয়।

পাঠ্যসূচি হলো শিক্ষাক্রমের অংশবিশেষ। সাধারণত শিক্ষাক্রমের একটি বিশেষ উপাদান বিষয়বস্তু (Content) নিয়ে পাঠ্যসূচি গঠিত হয়। কোন শ্রেণিতে একটি নিদির্ষ্ট বিষয়ে কী কী বিষয়বস্তু পড়ানো হবে , তারই বিস্তারিত বিবরণ বা তালিকা হচ্ছে পাঠসূচি।

শিক্ষাক্রমকে একটি বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করা হলে, পাঠ্যসূচি হবে ওই বৃক্ষের একটি শাখা। শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণ এবং সামগ্রিক রূপরেখা। একটি দেশের শিক্ষাক্রম ও এর কাঠামো যে সব বিষয়ের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে সেগুলো হচেছ –জাতীয় দর্শন, রাষ্ট্রীয় আদর্শ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোগত অবস্থা, জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য, জাতিগত মূল্যবোধ, জনগণের ধর্মীয় চেতনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিত, জনগণের সমকালীন জীবনব্যবস্থা, শিক্ষার্থীর সমকালীন  ও ভবিষ্যত চাহিদা, সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ও জরুরি চাহিদাসমূহ। 

বইয়ের চাপ, সিলেবাসের চাপ, পরীক্ষার চাপ, সৃজনশীল শিক্ষার চাপ, জিপিএর চাপ আর মান সম্মানের চাপ-এসব চাপে পিস্ট শিশু, পিস্ট শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কারিকুলামের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য তার সাথে সম্পর্ক নেই এসব চাপাচাপির কারণ হচ্ছে কারিকুলাম নিয়ে ভাবনা নেই শিক্ষার্থীর, অভিভাবকের, বিদ্যালয়ের, শিক্ষকের সর্বোপরি শিক্ষা প্রশাসনের। কারিকুলামের সর্বশেষ অংশটি অর্থাৎ মূল্যায়ন বিষয়টিই সবাই জানেন, সবাই সেটি নিয়েই চিন্তিত। কারিকুলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেহেতু জাতীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত, সংশ্লিষ্ট এবং সেগুলো অর্জন করার পথ শুধুমাত্র যে, প্রচলিত ধারার মূল্যায়নই সব নয় সে বিষয়টি যেন আমরা ভুলতে বসেছি। এটি আমাদের কালচারে পরিণত হয়েছে প্রচলিত পরীক্ষাই সবকিছু এবং এই ফল দিয়েই সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু কে করবে এসব? মন্ত্রণালয় না মন্ত্রণালয়ের অধীন এনসিটিবি নাকি মাউশি? এরা সবাই কিন্তু প্রশাসনিক কাজ নিয়েই ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। সন্ধ্যা সাতটা কিংবা রাত আটটায় গেলেও আপনি দেখবেন এসব সংস্থার লোকজন ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মাঝে একাডেমিক কিংবা শিক্ষাক্রম সংক্রান্ত কার্যাবলী খুঁজে পাবেন না। পাবেন তদবির, বদলির তদবির, প্রমোশনের তদবির, পরীক্ষা পরিচালনার ব্যবস্থা, মতামত, নির্দেশ ইত্যাদি। ফলে, কারিকুলামের যা হবার তাই হয়েছে।

প্রস্তাবিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষার ফলের সর্বোচ্চ সূচক ‘এ’ প্লাস পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে ৯০ থেকে ১০০ এর মধ্যে নম্বর পেতে হবে। চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ও সমমানের পরীক্ষা থেকেই পাবলিক পরীক্ষার ফল নতুন গ্রেডে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপর আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা থেকেও নতুন গ্রেডে ফল প্রকাশ করা হবে। এতে ফলের সর্বোচ্চ সূচক হবে জিপিএ-৪, যা বর্তমানে জিপিএ-৫। নতুন গ্রেডে নম্বরের শ্রেণিব্যাপ্তি হবে আটটি, বর্তমানে আছে সাতটি। ভয় হচ্ছে এ কারণে নোট, গাইড আর কোচিংয়ের ব্যাপ্তি  বেড়ে গিয়ে শ্রেণিশিক্ষাকার্যক্রম আরও সংকুচিত হয় কি না। তাহলে কারিকুলামের উদ্দেশ্যে সাথে শিক্ষাদানের সম্পর্ক হবে আরও শিথিল। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স এসোসিশেন (বেল্টা) এবং সাবেক ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যিালয় শিক্ষক।

কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004086971282959