কারিগরি-ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ছে - দৈনিকশিক্ষা

কারিগরি-ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ছে

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দেশে ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়লেও সাধারণ শিক্ষায় কমেছে। তিন বছরের ব্যবধানে ধর্মীয় শিক্ষায় অংশগ্রহণ ২ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে সাধারণ শিক্ষায় অংশগ্রহণ কমেছে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস’র সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণ শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ছিল ৯৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৯১ দশমিক ০২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ধর্মীয় শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া তিন বছরের ব্যবধানে কারিগরি শিক্ষায়ও অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়েছে।

বিবিএস’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ছিল ১ দশমিক ২২ শতাংশ। এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এই বিভাগে অংশগ্রহণের হার ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশে যখন অর্থনৈতিক দুরবস্থা আসে তখন সাধারণ শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। করোনার পর থেকে দেশে অর্থনৈতিক ক্রাইসিস দেখা যাচ্ছে। মানুষের আয়ের তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য মানুষ ব্যয় কমাতে চেয়েছে। সাধারণত কওমি মাদ্রাসাগুলোতে সন্তানকে শিক্ষা দিতে অভিভাবকদের ব্যয় করতে হয় না। এসব প্রতিষ্ঠান দান ও অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সুতরাং-কওমি মাদ্রাসায় সন্তানদের পড়াতে দিলে অভিভাবকরা মনে করেন-ধর্মীয় ইনভেস্টমেন্ট ও ভালো কাজ হলো, সেই সঙ্গে টাকাও খরচ হলো না। সেজন্য ধর্মীয় শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ছে। তিনি বলেন, শিক্ষাক্রম পরিবর্তন বুদ্ধিজীবী ও ধর্মীয় শিক্ষার্থীদেরকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে এই শিক্ষাক্রম নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ নেই। সন্তানদেরকে কম পয়সায় পড়াতে পারাটায় তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, দেশের নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। তারা শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের জন্য অনেক আন্দোলন ও প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী হয়তো পরিবর্তন করা হয়নি। এজন্য তারা মাদ্রাসা শিক্ষার দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। নতুন শিক্ষাক্রমের কারণে উচ্চবিত্তরা ইংলিশ মিডিয়ামের দিকে ঝুঁকছে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার যে প্রপাগাণ্ডা আছে, এটাও সাধারণ শিক্ষায় অংশগ্রহণ কমার কারণ হতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম। 

দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক - dainik shiksha দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় এতো ফেল! - dainik shiksha কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় এতো ফেল! বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে: ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ - dainik shiksha বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে: ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ - dainik shiksha ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065431594848633