খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। রোববার (৫ ডিসেম্বর) শিক্ষক ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা থেকে তারা এই দাবি জানিয়েছে। তা না হলে শিক্ষকরা চলমান ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অধ্যাপকের মৃত্যুর ঘটনায় এরই মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে মারা যাওয়া শিক্ষকের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করাকে আমরা ভালোভাবে দেখছি না। আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা। সেটা করা হয়নি। তাই কুয়েট শিক্ষক সমিতি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।’
ওই স্মরণসভায় প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী সাবিনা খাতুন রিক্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলেন। তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কাছে নানা রকম ফোন আসছে। তারা হুমকির সুরে নানা কথা বলছে।’ এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
শিক্ষক ও ছাত্রদের অভিযোগ, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তাঁর লোকজন নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর ড. সেলিমের কক্ষে ঢুকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং মানসিক নির্যাতন করেন। পরে ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত
পরিস্থিতিতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।