সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তিতে ভোগান্তির পর কৃষির গুচ্ছ ভর্তিতেও নানা ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৭ নভেম্বর সাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, কৃষির এই গুচ্ছ পদ্ধতিতে সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসনের ১০ গুণ শিক্ষার্থীকে মেধাক্রম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে যাঁরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেননি তাঁদের পরিবর্তে পরবর্তী মেধাক্রম থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের কেউ কেউ ডাউনলোড করতে না পারায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে শঙ্কা রয়েছে।
প্রবেশপত্র ডাউনলোডের ক্ষেত্রে নতুন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করায় এবং ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এ রকম কোনো তথ্য না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছেন। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের তাঁদের ইচ্ছামতো পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি প্রবেশপত্র ডাউনলোডের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও আসনবিন্যাস সাজিয়েছেন বলে অনেকের অভিযোগ।
তবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকেই আমরা পছন্দের জায়গায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পেরেছি। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি অনেক চেষ্টা করেও ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে পছন্দের কেন্দ্র দিতে পারেনি। তবে তার বাড়ি থেকে যত কাছের কেন্দ্রে দেওয়া যায়, সে চেষ্টা আমরা করেছি। আর প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সমস্যায় পড়েছে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। তাদের পুনরায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’