খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোডসংলগ্ন ইসলামনগর ও খানজাহাননগর এলাকার অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মেসভাড়ার ৫৫ শতাংশ মওকুফ করলেও উল্টো চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছের ছাত্রীনিবাসগুলোতে। বকেয়া পুরো ভাড়া দিতে না পারা ছাত্রীদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেছেন ছাত্রীনিবাসের মালিকরা। তা না হলে তাঁদের বইপত্র, আসবাব বাইরে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।
ছাত্রীরা জানান, সম্প্রতি ইসলামনগর ও খানজাহাননগর এলাকার ছাত্রীনিবাসের ভাড়ার ৫৫ শতাংশ মওকুফের জন্য সমঝোতা হয় হরিণটানা থানায়। কিন্তু এশিয়ান পেইন্টের গলি, আহসানিয়া আবাসিক এলাকা, স্বপ্নপুরি আবাসিক এলাকা ও মোহাম্মদনগর এলাকায় থাকা ছাত্রীনিবাসগুলো লবণচারা থানার অধীনে হওয়ায় তাদের মালিকপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত মানতে চাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে লবণচারা থানার ওসি শেখ আবুল খায়ের বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মৌখিক বা লিখিত কোনোভাবেই আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে গত ৩০ জুন শিক্ষার্থীরা খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর ভাড়া কমানোর আবেদন জানালে সুরাহার জন্য ১৩ জুলাই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।