স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা। এছাড়া মঙ্গলবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা দেন তারা। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, বাংলাদেশে সড়ক পথে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পরিবহন হয়ে থাকে। একাজে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহণ শ্রমিক কাজ করে থাকে। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউন বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল, লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
সেই হিসাবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলে পরিবহন শ্রমিকের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্ট, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত চলছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ অনিরাপদভাবে চলাচল করছে দাবি করে তিনি বলেন, এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে তাদেরকে হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। এসময় শ্রমিক নেতা শহিদুল্লাহ ছদু, মফিজুল হক, হুমায়ুন কবির খান ও আব্বাস উদ্দিন বেপু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।