গণহারে ফেলের অভিযোগ নিয়ে এনটিআরসিতে গেলেন যারা | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

গণহারে ফেলের অভিযোগ নিয়ে এনটিআরসিতে গেলেন যারা

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলে চারু ও কারুকলা বিষয়ে গণহারে ফেলের অভিযোগ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছেন নিবন্ধন প্রত্যাশীরা।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল গত ১৪ অক্টোবর প্রকাশ হয়েছে। তবে এ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে গণহারে ফেল এসেছে। 

গণহারে ফেলের অভিযোগ নিয়ে এনটিআরসিতে গেলেন যারা

গণহারে ফেল করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছেন নিবন্ধন প্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, সারা দেশে ৩০ হাজার পদ খালি থাকলেও আমাদের গণহারে ফেল এসেছে। আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। মেধাক্রম প্রস্তুত করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ চাই।

তাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করেন। এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই, কারণ আমরা প্রবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারবো না। 

নিবন্ধন প্রত্যাশীরা জানান, আমাদের চারু ও কারুকলা বিষয়ে অসংখ্য আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও গণহারে ফেল এসেছে। অথচ নীতিমালা উল্লেখ আছে, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ১০ (গ) বিধিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিটি বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হবে। 

সারাদেশে থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন চাকরিরপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রিলি, উর্ত্তীণ হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার মেধাক্রমে উত্তীণ না করেই অকৃতকার্য করা হয়েছে। যা আমাদের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আর কিছু না। অথচ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে হাজারো তাজা প্রাণ উৎসর্গ করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল লক্ষ হলো বৈষম্যনিরসন ও বেকার সমস্যার সমাধান করে সহকারী শিক্ষক (চারু ও কারুকলা) সংকট নিরসন করা সম্ভব। কিন্তু সারাদেশে চারু ও কারুকলা বিষয়ে প্রায় ৩০ হাজার পদ শূন্য থাকার পরেও আমাদের গণহারে ফেল এসেছে। এরকম বৈষম্য আমাদের জন্য বোধগম্য নয়।

এমন পরিস্থিতিতে, শূন্যপদের ভিত্তিতে চারু ও কারু কলা বিষয়ে ১০ (গ) অনুসরণ করে মেধাক্রম প্রস্তুত করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।