গবেষণা সংকটের কারণেই পিছিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো : আজাদ চৌধুরী - দৈনিকশিক্ষা

গবেষণা সংকটের কারণেই পিছিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো : আজাদ চৌধুরী

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাঙ্কিংয়ে খুব ভালো না করার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। রিসার্চ কালচার এ দেশের  বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে না। 

আর গবেষকরা সিরিয়াসলি গবেষণাকর্মও করেন না। রিসার্চ কালচারের (গবেষণা সংস্কৃতি) সংকটের কারণেই আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আকতারুজ্জামান। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায় ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা দায়সারা গবেষণা করে স্থানীয় পাবলিকেশন্সে প্রকাশ করে প্রমোশন বা অন্যান্য সুবিধা নেন। কারণ মানসম্মত একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন ও পাবলিশ করতে এক থেকে দুই বছর লেগে যায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণার পেছনে এতটা সময় ব্যয় করতে চান না। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে যদি কোনো উদ্ভাবন না থাকে, মানসম্মত বিদেশি জার্নাল প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণাপত্র রিজেক্ট করে দেয়, পাবলিশ করে না। গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেট জ্ঞান রাখতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন হওয়ার পরও গবেষণার ক্ষেত্রে তেমন একটা নজর দেওয়া হয়নি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন। শিক্ষার্থীরা বড় একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়। 

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, অবকাঠামো সবই মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো ইতিবাচক দিক। আমাদের দেশের গ্র্যাজুয়েটদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিলাম, এতে কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়ে না। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা/কলাবরেশন কতগুলো রয়েছে তার ওপরও র‌্যাঙ্কিং নির্ভর করে। গ্লোবাল ভিলেজের এ যুগে সবকিছুই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলোও সময়মতো সব তথ্য দিয়ে আপডেট করা হয় না। এটাও আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে যাওয়ার বড় কারণ।

কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043258666992188