গাইবান্ধায় প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট বাড়ছে, অবস্থা হযবরল - দৈনিকশিক্ষা

গাইবান্ধায় প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট বাড়ছে, অবস্থা হযবরল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি |

গাইবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট বাড়ছে। কোনো কোনো বিদ্যালয় চলছে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধায় এক হাজার ৪৬৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ ছয় হাজার ৮৮৪টি। এর মধ্যে ৯৪১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ বর্তমানে শূন্য। এ ছাড়া ১১৯টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এ সব বিদ্যালয়ে চলছে হযবরল অবস্থা। 

জানা যায় গাইবান্ধায় দুজন করে শিক্ষক আছেন এমন বিদ্যালয় সংখ্যা অন্তত ১৫টি। পলাশবাড়ি উপজেলার আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে একটি। দুজন শিক্ষক দিয়ে ওই স্কুলে চলছে শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। দুজনের মধ্যে যিনি অস্থায়ীভাবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তাকে ব্যস্ত থাকতে হয় দাপ্তরিক কাজে।

 

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর হার থাকার কথা ৪০:১। কিন্তু এ নীতিমালা জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েই কার্যকর হচ্ছে না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, সদর উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের ১৬৮ ও প্রধান শিক্ষক ৪, গোবিন্দগঞ্জে সহকারী ১৫০ ও শিক্ষক ১৫, পলাশবাড়িতে সহকারী ২০০ ও প্রধান ১৬, ফুলছড়িতে সহকারী ১৫১ ও প্রধান ২২, সাদুল্যাপুরে সহকারী ১১৫টি ও প্রধান ১, সাঘাটায় সহকারী ৮৪টি ও প্রধান ২০ এবং সুন্দরগঞ্জে সহকারী ৭৩টি ও প্রধান শিক্ষকের ৪১টি পদ শূন্য।

ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন সরকার জানান, গত বছর বন্যায় তার উপজেলায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়। এ সব বিদ্যালয় অস্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তর করায় সেগুলোতে লেখাপড়া সমস্যা হচ্ছে।

 এ সব বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও তার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, ৪৮০ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তারা নিয়োগ পেলে সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005713939666748