গুজব না ছড়িয়ে সবাই টিকা নিন : বি চৌধুরী - দৈনিকশিক্ষা

গুজব না ছড়িয়ে সবাই টিকা নিন : বি চৌধুরী

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

কোনো গুজব না ছড়িয়ে সবারই করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহণযোগ্য। আমি যত দূর জানি এর বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ গতকাল দুপুরে ফোনালাপে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

 প্রতিবেদনে আরও জানা যায় বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে দ্রুত ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু করায় অভিনন্দন জানাই। আমি মনে করি এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গুজবও ছড়ানো উচিত না। সুযোগ থাকলে সবারই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। সরকার এখন কিছু মানুষকে টিকা দিচ্ছে। কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে সরকার সারা দেশে একযোগে শুরু করবে। এটা ভালো দিক। কিছুদিন দেখা উচিত এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না। জ্বর বা হাঁচি-কাশি হতে পারে। আমি যত দূর বুঝি এর বাইরে টিকার তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’

অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘এটা আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত করোনার প্রধান প্রতিষেধক হচ্ছে ভ্যাকসিন। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত ভ্যাকসিন না আসবে ততক্ষণ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে ভ্যাকসিনের পরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ এ মুহূর্তে সবাই তো আর ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। সবার মধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি তো আর হচ্ছে না। যাদের হার্ড ইমিউনিটি হবে না তাদের মধ্যে জার্মটা থেকেই যাবে। তবে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের মধ্যে টিকা দেওয়া হয়ে গেলে বাকি ৪০ ভাগের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি চলে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে কম লোকের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তাই মাস্ক পরে থাকাই উচিত। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমনিতেই মাস্ক পরা জরুরি। ঢাকা শহরে ধুলাবালিসহ নানাবিধ কারণে এটা জরুরি। যতক্ষণ পর্যন্ত না ৬০ ভাগ মানুষের মধ্যে টিকা দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করাই উচিত।’ 

রোগবিজ্ঞানের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে অক্সফোর্ড ও ফাইজারের ভ্যাকসিন ভালো। তবে ফাইজারের টিকা যে তাপমাত্রায় রাখা জরুরি তা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সহনীয় নয়। এ কারণে বাংলাদেশের জন্য অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই উপযোগী। তবে প্রাথমিকভাবে এর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করা উচিত। এরই মধ্যে সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকেও আমি অভিনন্দন জানাই।’

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034599304199219