গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস অপচেষ্টার মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে বাবুল শিকদার নামে এক শিক্ষার্থীর নাম। বাবুল শিকদার অ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের শিক্ষার্থী। গ্রেফতারকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ভর্তিচ্ছুকসহ অন্যান্য ১০জন ব্যক্তি মূল হোতা বাবুল শিকদারের ইন্ধনে এমন অসাধু কাজে জড়িয়েছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এনএসআই সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তিচ্ছু কিছু শিক্ষার্থী প্রশ্নফাঁস করতে চুক্তিবদ্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধু শিক্ষার্থী রনিসহ প্রশ্নফাঁস অপচেষ্টা চক্রের মূল হোতাদের সাথে।
কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে সজাগ ছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
রনির ফোনালাপ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে পৌঁছালে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের রনি খান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের নেয়ামুল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নয়ন এবং আইন বিভাগের অমিত গাইন, মানিক মজুমদার, হাসান, সাগর, তরিকুল, সুলাইমান, জাফেজকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়নি। কিন্তু যে অসাধু চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে তার জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মূল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সদস্য সচিব এস এম গোলাম হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসচক্র সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যক্তিদের যাবতীয় তথ্য প্রশাসনকে দিতে অবহিত করা হয়েছে।