চট্টগ্রামের প্রাথমিকের ৮১ শতাংশ নতুন বই ছাপা শেষ - দৈনিকশিক্ষা

চট্টগ্রামের প্রাথমিকের ৮১ শতাংশ নতুন বই ছাপা শেষ

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : গত শিক্ষাবর্ষে  যথাসময়ে না পেলেও এবার সঠিক সময়ে নতুন বই পাচ্ছেন চট্টগ্রামে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিকের চাহিদার ৮১ শতাংশ বই তাদের হাতে এসেছে। এবছর চট্টগ্রামের সাগরিকা প্রিন্টার্স এবং দি মক্কা আল মুকারাম প্রিন্টার্স নামের দুটি ছাপাখানায় প্রাথমিকের বই ছাপানো হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে ৮১ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৪ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে। এবার নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯০টি। যেখানে গতবার বইয়ের চাহিদা ছিলো ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২৯৭টি। এরমধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই এসেছে ৩৬ লাখ ৬ হাজার ১২২টি। অর্থাৎ মোট চাহিদার ৯ শতাংশ বই এখনো আসেনি। তবে গতবারের চেয়ে এবার বইয়ের চাহিদা কমেছে প্রায় চার লাখ।

এদিকে, চট্টগ্রামের ৬ থানা ও সব উপজেলাসহ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৩ জন। আর প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ জন। এছাড়াও চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮১০টি। যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং নগরের পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা এবং গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা বই পেয়ে থাকে। 

কাগজ সংকটসহ নানা কারণে চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন বই পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিলো শিক্ষার্থীদের। স্কুলগুলোতে কয়েক দফা করে শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হয়েছিল।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মনিটরিং অফিসার মো. নুর মোহাম্মদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সাধারণত অক্টোবর থেকে বই আসা শুরু হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখনো পর্যন্ত আমাদের চাহিদা মোতাবেক ৮১ শতাংশ বই এসেছে। চলতি মাসের মধ্যে বাকি বইগুলোও চলে আসবে। এরপরই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু করা হবে।

তিনি আরো জানান, ৯ শতাংশ বই নভেম্বরের শেষ দিকে পৌঁছে যাবে।  ডিসেম্বরের শুরুতেই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে এসব বই। বছরের শুরুতেই সময়মত পাঠ্যবই পেয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা।

সরকারি স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেলেন ১ হাজার ১১৬ প্রার্থী - dainik shiksha সরকারি স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেলেন ১ হাজার ১১৬ প্রার্থী প্রশ্নকর্তা অজ্ঞাতে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কাল - dainik shiksha প্রশ্নকর্তা অজ্ঞাতে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সাড়ে ১৮ লাখ আবেদন - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সাড়ে ১৮ লাখ আবেদন যা আছে শিক্ষামন্ত্রীর হলফনামায় - dainik shiksha যা আছে শিক্ষামন্ত্রীর হলফনামায় নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্থগিত - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060718059539795