চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নামে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তির অভিযোগ এসেছে । ২০১৭-১৮ সেশনের ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭০তম হয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মো. মইন। কিন্তু প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে গেলে প্রক্সির দায়ে ধরা পড়েন তিনি। রবিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হয় মঈন। ভর্তি পরীক্ষায় তার হয়ে পরীক্ষা দেন অন্য জন। ভর্তি পরীক্ষা সেই ব্যক্তিটির ডি ইউনিটের রোল নাম্বার ছিল (৪০৯৭৯৬) ক্রমিক নাম্বার (৮৩১৮৬৮) তার স্কোর ছিল ৮৪ :২২০। প্রথম বর্ষের ভর্তি ফরম আর নথিপত্র খোঁজে ছবি পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির। তখনই বিভাগের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে সব কিছু তদন্ত করে দেখা যায় প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হন মইন। এতে তার সাথে ৩ লক্ষ টাকার চুক্তিও হয়।
প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, মইন নামের ছেলেটি ২০১৭-১৮ সেশনের ১ম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন আইন বিভাগের তিন নং গ্যালারিতে। পরীক্ষা চলাকালে হল পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি সে স্বীকার করে।
প্রক্টর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মইন জানান সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের হোসাইন আল মাসুম ( যার আইডি- ০৯৪০৩০৭৫) এই প্রক্সির চক্রের মূল হোতা। তার মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকার চুক্তি হয় এবং চুক্তি মোতাবেক লেনদেনও হয়। মইন নামের ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে হাটহাজারী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।