সাক্ষাৎকার নেয়ার একমাস পার হতে চললেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে আসন বরাদ্দের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রীরা। এসময় দুই দফা দাবিও তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা হলের মূল ফটক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন ওই হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত ছাত্রীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে সরে যান আন্দোলনকারীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ডে স্লোগান লেখা ছিল ‘অন্যের হলে সিট খুঁজি, আমরা কি সব রিফিউজি, প্রশাসনের মিথ্যা আশ্বাস আর কত? দিয়ে দাও ফলাফল, খুলে দাও শেখ হাসিনা হল।’
দাবি দুটির মধ্যে আছে, আগামী এক কার্যদিবস অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরের মধ্যে হলের সাক্ষাৎকারের ফলাফল প্রদান করতে হবে, চলতি বছরের ২০ অক্টোবরের মধ্যে যার যার বরাদ্দকৃত বৈধ সিটে ওঠার নির্দেশ প্রদানপূর্বক নোটিশ দিতে হবে।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা জানান, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের চার বছর পরেও এখনো হলে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। গত এপ্রিল মাসে আবাসিক হল খুলে দেয়ার জন্য তাঁরা মানববন্ধন করেছিলেন। তখন উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, দুই মাসের মধ্যে হলের ফরম ছেড়ে দেব। কিন্তু ছাড়েনি। তারপরে আবার তারা স্মারকলিপি দেয়। সেই আন্দোলনের পরে সাক্ষাৎকারে তারিখ দেয়া হয়। কিন্তু সাক্ষাৎকারের তারিখ তিনবার পিছিয়ে দেয়া হয়। সবশেষে সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। সেই সাক্ষাৎকারের রেজাল্ট এখনো দেয়নি। যার ফলে আবাসিক হলে সংযুক্তিপ্রাপ্ত ছাত্রীরা ওঠতে পারছে না। কোন সময়ে সিট দেয়া হবে? কোন সময়ে সাক্ষাৎকারের রেজাল্ট দেয়া হবে? এ জন্য আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘সামনে ২৪ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট দেয়ার চেষ্টা করব। যদি সম্ভব না হয় ৩ নভেম্বরের মধ্যে রেজাল্ট দেয়া হবে। তারপরে ব্যাংক টাকা জমা দিয়ে ছাত্রীরা ৪ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে হলে ওঠতে পারবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, ২৪ তারিখের মধ্যে সাক্ষাৎকারের রেজাল্ট দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যদি না হয় ৩ নভেম্বরের মধ্যে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হল’ উদ্বোধন করেন। সে বছর থেকেই হলে সংযুক্তি প্রদান করা শুরু হয় ছাত্রীদের। পরের বছরগুলোতে সে ধারাই অব্যাহত থাকে। পরপর চার বছর ধরে সংযুক্তি দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ এখনো দেয়া হয়নি।