উপাচার্যের আশ্বাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারী ছাত্রলীগের একাংশের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা লাগাতার অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে সাবেক সহ-সম্পাদক শরীফ উদ্দীন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডিসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছি। এসময় উপাচার্য সব দাবি মেনে নিয়েছেন।’
তিনি বলেন,‘একই সাথে আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মির মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দ্বায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। তাই আমরা লাগাতার অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। রোববার (৭ এপ্রিল) তাদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ লঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রোববার সন্ধ্যায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবরোধের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। অধিকাংশ বিভাগ ও ক্লাসরুমে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও অনেক কম। বন্ধ ছিল শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যেসব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয় তার মধ্যে মার্কেটিং, লোক প্রশাসন, মেরিন সায়েন্স, নৃ-বিজ্ঞান,পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ফাইন্যান্স অন্যতম। এছাড়া, শাটল ট্রেন না আসায় এবং শিক্ষক বাস না যাওয়ায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।