চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সম্ভাবনা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সম্ভাবনা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী সেপ্টেম্বরে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ওই সময়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার শিডিউল থাকায় সরকার প্রধান চলতি বছরই বেইজিং যাবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই।

সোমবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। এরআগে গত রবিবার চীনের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

ভাইস মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মোমেন জানান, ওনারা দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেয়ার কারণে বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর চলতি বছরই চীন সফরে যাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। চীনের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ (জিডিআই) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান মোমেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে চীন কাজ করছে, তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা তো চাই ভালোভাবেই প্রত্যাবাসন শুরু হোক। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি হয়নি এমন মন্তব্য করা দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘ বলছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলে। তারা নিয়ে যাক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বর্গমাইলে মাত্র নব্বইজন লোক বাস করে, আমাদের এখানে তিন হাজার ৩০০ লোক থাকে। তাদের জায়গা ও সম্পদের অভাব নেই। তাদের লোক দরকার। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় না কেন? আমি সব দেশকে বলেছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান। কানাডা বলল, তারা নেবে। তাদের প্রতি বর্গমাইলে পাঁচ-সাতজন থাকে, এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জন নিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও নেয়ার কথা বলে মাত্র ৬২ জন নিয়েছে। কোথায় বিশ না ত্রিশ হাজার করে প্রতি বছর নেবে, তারা ধারে কাছে নেই।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হবে-প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাও আমরা বলতে পারবো না। মিয়ানমার দু-দুবার তারিখ নির্ধারণ করেছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে, কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। আর এখনো আন্তরিকতা না থাকলে কাজ হয় না। ওদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, না হলে এতদিন শুরু হয়ে যেত।ভাইস মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মোমেন জানান, ওনারা দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেয়ার কারণে বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর চলতি বছরই চীন সফরে যাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। চীনের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ (জিডিআই) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান মোমেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে চীন কাজ করছে, তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা তো চাই ভালোভাবেই প্রত্যাবাসন শুরু হোক। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি হয়নি এমন মন্তব্য করা দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। 

জাতিসংঘ বলছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এখনো সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলে। তারা নিয়ে যাক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বর্গমাইলে মাত্র নব্বইজন লোক বাস করে, আমাদের এখানে তিন হাজার ৩০০ লোক থাকে। তাদের জায়গা ও সম্পদের অভাব নেই। তাদের লোক দরকার। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় না কেন? আমি সব দেশকে বলেছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান। কানাডা বলল, তারা নেবে। তাদের প্রতি বর্গমাইলে পাঁচ-সাতজন থাকে, এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জন নিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রও নেয়ার কথা বলে মাত্র ৬২ জন নিয়েছে। কোথায় বিশ না ত্রিশ হাজার করে প্রতি বছর নেবে, তারা ধারে কাছে নেই।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হবে-প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাও আমরা বলতে পারবো না। মিয়ানমার দু-দুবার তারিখ নির্ধারণ করেছে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে, কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। আর এখনো আন্তরিকতা না থাকলে কাজ হয় না। ওদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, না হলে এতদিন শুরু হয়ে যেত।

চীন এ ক্ষেত্রে কী আশা দিয়েছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। যে কারণে আমাদের পক্ষ হয়ে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে চীন, আলাপ করছে। তারা বোঝে যে আমরা এগুলোকে বেশিদিন রাখতে পারবো না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীনের কাছ থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে মিয়ানমারের দুটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরাও মিয়ানমারে গিয়েছে।

চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী কোনো আশার কথা শুনিয়েছে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এসব কিছু তারা সহজ করে দিচ্ছে, সহায়তা করছে। যে কারণে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। এটিকে বলে আত্মবিশ্বাস তৈরি, সেটা হচ্ছে। তাতেই অবশেষে হয়ত তারা যেতে শুরু করবে।

তবে কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমার মুখে বলে তাদের নেবে, কিন্তু এখনো নেয়নি।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতেই চীনা উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত দেয়ার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করছি। চীন-মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপক্ষীয় আলাপ করছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সম্প্রতি আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, যারা রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল দিতেন, তারা টাকা পয়সা কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে অনেক বেশি কমিয়ে দিয়েছে। যেমন, আগে যুক্তরাজ্য ১২৬ মিলিয়ন (১২ কোটি ৬০ লাখ) মার্কিন ডলার দিত, কিন্তু এ বছরে তারা ৫.৪ মিলিয়ন (৫৪ লাখ) ডলার দিয়েছে। আমাদের দেননি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে (ইউএনএইচআর) দিয়েছে।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের পেছনে ১.৯ বিলিয়ন (১৯০ কোটি) মার্কিন ডলার খরচ করতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও অবকাঠামো বানাতে হয়েছে তাদের জন্য। সবমিলিয়ে আমরা চাই, তারা ফেরত যাক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের চেয়ে পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। তারা স্থানীয়দের চাকরি-বাকরি নিয়ে নিচ্ছে। কয়েকদিন পর স্থানীয় মানুষজন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠবে। তাদের যেতে তো অনেকদিন লাগবে। আমরা বললাম, আপনাদের কাজে আমরা খুবই খুশি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে, ফল কী আসে, তার ওপর।

১ অক্টোবর শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা যাদের - dainik shiksha ১ অক্টোবর শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা যাদের পাকিস্তানি ব্যুরোক্র্যাটিক লিগ্যাসিতেই বৈষম্যের শিকার শিক্ষা ক্যাডার - dainik shiksha পাকিস্তানি ব্যুরোক্র্যাটিক লিগ্যাসিতেই বৈষম্যের শিকার শিক্ষা ক্যাডার মানসম্মত শিক্ষকের বিকল্প নেই : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha মানসম্মত শিক্ষকের বিকল্প নেই : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মধ্যরাতে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার হলে ছাত্রলীগের সং*ঘর্ষ, আ*হত শতাধিক - dainik shiksha মধ্যরাতে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার হলে ছাত্রলীগের সং*ঘর্ষ, আ*হত শতাধিক কলেজে নিয়োগে কোটি টাকা ঘু*ষ লেনদেনের অভিযোগ - dainik shiksha কলেজে নিয়োগে কোটি টাকা ঘু*ষ লেনদেনের অভিযোগ ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ২ অক্টোবরের পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ২ অক্টোবরের পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর বারে ভাঙচুর : তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha বারে ভাঙচুর : তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি গ্রেফতার ৫ অক্টোবরের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ - dainik shiksha ৫ অক্টোবরের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0076470375061035