চাঁদা না পেয়ে মাদরাসার জায়াগায় ঘর তুললেন ইউপি সদস্য | মাদরাসা নিউজ

চাঁদা না পেয়ে মাদরাসার জায়াগায় ঘর তুললেন ইউপি সদস্য

চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলার শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার জায়গা দখল করে টিনের ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে। শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। সোমবার শেরপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান এই অভিযোগ করে

চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলার শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসার জায়গা দখল করে টিনের ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে। শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। সোমবার শেরপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে হাফিজুর রহমান বলেন, খন্দকারটোলা মৌজায় মাদ্রাসার নামে এক একর পয়ষট্টি শতক জমি রয়েছে। জমিটি নিচু হওয়ায় সেখানে পানি জমে থাকে। তাই জমিগুলো অনাবাদি পড়ে ছিল। এ অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে মাদ্রাসার গভর্নিংবডি অধিবেশনে জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। তবে জমি বিক্রির টাকায় সমপরিমাণ জমি কিনে সে টাকায় মাদ্রাসার অবকাঠামো নির্মাণের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বারো শতক জমি বাদ দিয়ে বাকি জমি বিক্রি করা হয়। ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন মসজিদ নির্মাণের নাম করে জমি বিক্রির সব টাকা দাবি করে বসেন। ওই টাকা না দিলে মাদরাসার জায়গা দখল করার হুমকি দেন।

অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানের অভিযোগ, ইউপি সদস্যের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে মাদরাসার জায়গায় রাতের আঁধারে টিনের ঘরও তুলেছেন ইউপি সদস্য।

তবে ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, খন্দকারটোলা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মাদরাসার অধ্যক্ষ প্রতারণা করেছেন। মাদরাসার জায়গায় মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন সেটি অস্বীকার করছেন। তাই গ্রামের লোকজন সেখানে টিন দিয়ে নামাজ ঘর তুলেছেন।

শেরপুরের ইউএনও লিয়াকত আলী সেখ বলেন, মাদরাসার জায়গায় জোর করে ঘর তোলার সুযোগ নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।