নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে দুই দলে বিভক্ত ত্রিপুরা রাজ্যের চাকরিচ্যুত ১০ হাজার ৩শ’ ২৩ জন শিক্ষক।
মাত্র দুদিন আগে চাকরিচ্যুত ১০ হাজার ৩শ’ ২৩ জন শিক্ষকের একাংশ আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিপুরা সরকার যদি তাদের চাকরির নিশ্চয়তা না দেয় তবে তারা রেলপথ, জাতীয় সড়ক সহ রাজ্যের অন্যান্য সড়ক অবরোধ করে রাজ্যকে অচল বানিয়ে দেবেন। এই অবস্থায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এর জন্য দায়ী থাকবে ত্রিপুরা সরকার।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) তাদের ৪৮ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই নাটক নতুন মোড় নিলো। বৃহস্পতিবার চাকুরিচ্যুত ১০ হাজার ৩শ’ ২৩ জন শিক্ষকের একাংশ মহাকরণের মূলগেটের বাইরে গণঅবস্থান করেন।
তাদের চাকরিচ্যুত না করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে আবার চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। তবে তারা নিজেদের চাকরির দাবিতে রেলপথ, সড়কপথ অবরোধের বিপক্ষে বলেও জানান।
এই গণঅবস্থানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ত্রিপুরা পুলিশের ডিআইজি অরিন্দম নাথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এ দিনের এই গণঅবস্থানে প্রমাণ হলো চাকরিচ্যুত ১০ হাজার ৩শ’ ২৩ শিক্ষকদের আন্দোলন আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত। আন্দোলনের গতিপথও পৃথক। তাই তাদের আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।