প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সম্মত আছেন জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে দেশের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার বৃহৎ স্বার্থে বিসিএস প্রশাসন ও ইকোনমিক ক্যাডার একীভূতকরণ এবং বাংলাদেশ বেতারে তথ্য ক্যাডারের পদ পুনর্বিন্যাস (ক্যাডার কম্পোজিশন) ও ডিজি পদকে গ্রেড-১-এ উন্নীতকরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, কমিটির একাধিক বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ নির্ধারণ এবং অবসরের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে একই সুপারিশ করে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়। গতকাল অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কমিটির সুপারিশ প্রস্তাব আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়। সংসদীয় কমিটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানান কমিটির সদস্য মুস্তফা লুত্ফুল্লাহ।
ওই সংসদ সদস্য আরো জানান, বৈঠকে সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব নিয়ে প্রশাসনে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে খাতওয়ারি রসিদ (মানি রিসিট) বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কিভাবে পরিচালক (পিডি) নিয়োগ হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।