চাকরি হারালেন পলাতক চার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা - দৈনিকশিক্ষা

চাকরি হারালেন পলাতক চার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পলাতক ৪ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। অনুপস্থিতির বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুমোদনও নেননি এসব কর্মকর্তারা। তাই, তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র।

সরকারি চাকরি হারানো এ চার কর্মকর্তা হলেন, ময়মনসিংহ মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রওশন আলম, মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরে জান্নাত মুক্তা, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো শহিদুল ইসলাম এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. শফিউল হক।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, এ কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক মো. রওশন আলম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস থেকে, সহকারী অধ্যাপক নুরে জান্নাত মুক্তা ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাস থেকে, প্রভাষক মো শহিদুল ইসলাম ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এবং প্রভাষক মো. শফিউল হক ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে তাদের শোকজ করা হলে তিনজনই তার জবাব দেননি। তবে, সহকারী অধ্যাপক মো. রওশন আলম যুক্তরাষ্ট্র থেকে শোকজের জবাব পাঠিয়েছেন। পরে তাকে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। 

সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, পরে তাদের সবাইকে দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলে কেউই জবাব পাঠাননি। রেকর্ড ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই, সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন।

তাই, গত ১১ মে এ চার কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। ৩ জুন আদেশ গুলো প্রকাশ করা হয়েছে বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায় সূত্র।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042178630828857