চুল কাটার দায় এড়াতে কৌশলে শিক্ষার্থীদের মাথা ন্যাড়া! - Dainikshiksha

চুল কাটার দায় এড়াতে কৌশলে শিক্ষার্থীদের মাথা ন্যাড়া!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি |

Rajapur photo-4সামনে পরীক্ষা- এই কারণে মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম জোর করে ২০ শিক্ষার্থী চুল কেটে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এ অভিযোগ থেকে বাঁচতে চুলকাটা অনেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে চাপ দিয়ে তাদের মাথা ন্যাড়া করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঝালকাঠির রাজাপুরের বাগড়ি গ্রামের নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও হিফজখানার শিক্ষক রবিউল ইসলাম মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটান।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সামনে পরীক্ষা এই কারণে শিক্ষক রবিউল ইসলাম সব শিক্ষার্থীকে চুল কেটে আসতে বলেন। অনেকেই চুল না কাটায় মঙ্গলবার বিকালে ওই শিক্ষক নিজেই কাঁচি দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ২০ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন। এসময় অনেকেই ভয়ে কান্না শুরু করে।

এ ঘটনাকে অভিভাবকরা ছাত্র নির্যাতন হিসেবেই মনে করলেও কেউই থানার দারস্থ হয়নি। ঘটনার পর অভিবাবকরা মাদ্রসায় গিয়ে চুল কাটার কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন। তবে ওই শিক্ষক রবিউল ইসলাম ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রদের মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়ায় কয়েক দিন থেকেই তাদের বাড়ি থেকে চুল কেটে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা চুল না কাটায় কেচি দিয়ে এক পোঁচ করে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা বাড়িতে গিয়ে চুল কাটার কথা না ভূলে যায়।’ এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন ওই শিক্ষক।

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (বড় হুজুর) জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনা শুনে তাকে (রবিউল ইসলাম) মাদ্রসায় ডেকে এনে গালমন্দ করেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিয়ে অভিভাবকদের চাপ দিয়ে ওইসব বাচ্চার মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন। যদিও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনির উল গিয়াস জানান, এ ঘটনায় কোনও অভিযোগ না আসায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043580532073975