সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষকে সময় দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও দুইদিন সময় দিয়ে মঙ্গলবার আন্দোলন থেকে সাময়িক সরে আসারা ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এদিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাহজাদপুর মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী, পরিচালক (প্রশাসন) সরোয়ার হোসেন,পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) শিবলি মাহমুদ, ইউএনও অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা এবং শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শামিম হোসেন, আবু জাফর হোসাইন, নাজমুল হোসেন পাপন ও সিরাত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্যের নেওয়া সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক সভায় বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ্য থেকে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার সরেজমিনে শাহজাদপুর আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি চাকরির প্রবিধি ও নীতিমালা (শৃঙ্খলা ও আপিল) অনুযায়ী প্রতিনিধিদল ১৪ শিক্ষার্থীর বাইরেও সেদিন পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষ্য ও মতামত গ্রহণ করবেন। আর এসব কাজের জন্য সময় প্রয়োজন।
তারা জানান, উপচার্যের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্র দুইদিন ২৭ ও ২৮ অক্টোবর সময় চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরাও এসব বিষয় বিবেচনা করে তাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরে আসেন।
রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের বরখাস্তের বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণে বেশ পদক্ষেপ রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার মঞ্জুরি কমিশনের লোকজন আসছেন। উপাচার্যের নির্দেশে দু’দিন সময় নেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শামিম হোসেন ও আবু জাফর হোসাইন বলেন, ‘কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক ফারহানার স্থায়ী বরখাস্তের বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে মাত্র দু’দিন সময় নেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে আবারো আগের মত আন্দোলন চলবে।’
এরআগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ শিক্ষার্থীর চুলকাটার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্বপূর্ণ তিনটি পদ থেকে সরে আসেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।
শিক্ষক ফারহানার স্থায়ী বরখাস্তের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসের পর আন্দোলন থেকে সাময়িক সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।পরে আবারও আন্দোলনে নামেন তারা।