যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফান্ড থেকে ৯ চেকের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার পর এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রায় একই ধরনের গরমিল পেয়েছে দুদক। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১১টি চেকের মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে বোর্ডের ফান্ড থেকে ২ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বোর্ডের আগের চেয়ারম্যানের সময়ের এ ১১টি চেক নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অভিযোগ অনুসন্ধানে গত সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর।
দুদক জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১১টি চেকের মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে বোর্ড ফান্ডের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুদক টিম। তবে অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত দেয়নি দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।
বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে, বোর্ডের আগের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হকের সময়ের ১১টি চেক নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদক জানিয়েছে, বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান তদন্ত টিমকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট চেক ও রিসিটসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহ করবেন বলে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, সোমবারই আয়কর ও ভ্যাট কর্তনের নামে মিথ্যা বর্ণনায় সরকারি আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।