কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বই পড়তেন। বইয়ের প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ ও ঝোঁক ছিল। শিক্ষার্থীরা বইয়ের দিকে না ঝুঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছাত্রছাত্রীদেরকে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতই সোশ্যাল মিডিয়া বিকশিত হোক না কেন, বই থাকবে, গ্রন্থাগার থাকবে। বইয়ের আবেদন কখনো ফুরোবে না।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ৫ ফেব্রুয়ারি- ২০২০ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, কোমলমতি শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও বইমুখী করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষব্যাপী সারাদেশে রোডমার্চ ও রোডশো'র আয়োজন করা হবে। এ রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। তাছাড়া মুজিববর্ষে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৮শ হতে ১ হাজারে উন্নীত করা হবে। এছাড়া, মুজিববর্ষকে সামনে রেখে 'সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন' শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। মোদ্দাকথা, সাধারণ মানুষকে গ্রন্থাগার ও বইমুখী করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় তার সবই করা হচ্ছে এবং হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল্যাহ হারুন পাশা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি আলী আকবর।