করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খোলার পর শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করতে পারবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে কক্ষ বা সিট ছেড়ে দিতে হবে। আর কোন শিক্ষার্থী ঘরের মেঝেতে অবস্থান করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) প্রভোস্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সংযুক্ত ছিলেন। সভায় করোনা ভাইরাসের পরের সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও হলের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলের নীতিমালার আলোকে হলে অবস্থান করবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা কোনক্রমেই হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদেরকে হল প্রশাসন কর্তৃক দেয়া সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কক্ষ বা সিট ছেড়ে দিতে হবে। তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে এর বিকল্প নেই।
হলের কোন কক্ষের মেঝেতে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবে না। প্রয়োজনে, যথাযথ নিয়মে, ডাবলিং করতে পারবে। হল প্রশাসন যে সকল কক্ষে খাট বা বেড নাই ছুটিকালীন সময়ে সে সকল কক্ষে নিয়মমাফিক খাটব বেড সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির সময়ে প্রশাসন হলের সংস্কার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা মন্তব্য করেন, এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা কথিত ‘গণরুমের’ অবসান ঘটবে। তবে এই ‘গণরুমের’ অবসান ও ‘যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে অবস্থান না করার’ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলেও সভায় মত দেয়া হয় ।