ছাত্রলীগের দখলে কুবির ব্যায়ামাগার | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ছাত্রলীগের দখলে কুবির ব্যায়ামাগার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যায়ামাগারটি গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী। এর পর থেকেই ব্যায়ামাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ব্যায়ামাগারটি দখল করে সেখানে তারা ছাত্রলীগের কার্যালয় বানায়। এখন শিক্ষকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখানে ব্যায়াম করার সু

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যায়ামাগারটি গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী। এর পর থেকেই ব্যায়ামাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ব্যায়ামাগারটি দখল করে সেখানে তারা ছাত্রলীগের কার্যালয় বানায়। এখন শিক্ষকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখানে ব্যায়াম করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের উত্তর পাশে ব্যায়ামাগারটির অবস্থান। দখলকৃত ব্যায়ামাগার থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম চলে। অধিকাংশ সময় ব্যায়ামাগারটি তালাবন্ধ করে রাখা হয়। বিভিন্ন দিবসে এখানে জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করা হয়। গতকাল রোববার সকালে সেখানে দেখা যায়, ব্যায়ামাগারের সামনের ফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোসহ 'ব্যায়ামাগার' লেখা রয়েছে। পাশেই ছাত্রলীগের সম্মেলনের পোস্টার ও জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের পতাকা উড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় ব্যায়ামাগারটি নির্মিত হয়। ভবন নির্মাণের পর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া কমিটির মাধ্যমে ব্যায়ামাগারে ব্যবহার করার জন্য চার লাখ ৭০ হাজার ৬৭৪ টাকার ১৭ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের কাছে ব্যায়ামাগার হস্তান্তর করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। তবে শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, ব্যায়ামাগার পরিচালনা করার বিষয়ে আমাদের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অঙ্গীকারনামায় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার কথা থাকলেও সরাসরি একটি ছাত্র সংগঠন ব্যায়ামাগার দখল করে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, ব্যায়ামাগারে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সবসময় বন্ধ থাকায় সেখানে যেতে পারি না। তার চেয়ে বড় কথা, ছাত্রলীগের ভয়ে আমরা সেদিকে যাই না।

অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ব্যায়ামাগার সবসময় খোলা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেউ ইচ্ছা করলেই সেখানে জিম করতে পারেন। কার্যালয় বানিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খেলার পর কিছু সময় বসি। সেটা কার্যালয় হিসেবে নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ব্যায়ামাগার অবশ্যই ছাত্রদের জন্য। তবে ছাত্রলীগ দখল করার বিষয়ে আমার জানা নেই।