চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এর জের ধরে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনায় চমেক ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুলতান শাহরিয়ারসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার চমেক অধ্যক্ষের কার্যালয়ের নিচে ও চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় পুরো হাসপাতালের রোগী-স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন, দফতর সম্পাদক অনির্বাণ দেবনাথও রয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটিতে ও দুইজন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পর চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চমেক ছাত্র সংসদ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক-দেড় মাস ধরে একটি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগেই মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয়া হয়।
সোমবার সকালে চমেক অধ্যক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বের হওয়ার পরই রিয়াজুল ইসলাম জয়, আরাজ, অভিজিত, শামীম তৌফিকসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে চমেক ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা প্রতিরোধ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। পরে চমেক অধ্যক্ষ ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভুঁইয়া বলেন, প্রথমে চমেক অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরেই মারামারিতে জড়ায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দুইপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান বলেন, ‘আমি নিজে দুইপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এ ব্যাপারে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে’।