চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ৩০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। পৃথক বিবৃতিতে তারা এ তথ্য জানায়। এদিকে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ও ইন্টার্ন হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। এ পক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ঘটনায় দুপক্ষ একই সুরে কথা বললেও পালটাপালটি অবস্থানে রয়েছে তারা। এ কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চমেক খোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। একটি পক্ষ কলেজ প্রশাসনকে বিতর্কিত করায় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী শনিবার থেকে চমেক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) সভাপতি ডা. কেএম তানভীর বলেন, ৩০ অক্টোবরের হামলায় ১৬ জন অংশ নিয়েছিল। সিসি ক্যামরার ফুটেজে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে। হামলার ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দুই বছরের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জন নিরীহ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, এমনকি তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের অপরপক্ষ। এ পক্ষটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
এরপর মঙ্গলবার চমেকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আসন্ন প্রফেশনাল পরীক্ষা ও লেখাপড়ার গুরুত্ব বিবেচনায় ২৭ নভেম্বর থেকে চমেক খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।