ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে শাহবাগ থানার পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় আজ দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওসি মওদুদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুজনকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। তাঁদের থানায় নিয়ে এসেছি। আমরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি পুলিশ। দুজনকে আটক করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওসি মওদুদ বলেন, ‘এখনো তাঁদের আটক বলা যাবে না। তাঁদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কেন তাঁরা ঘটনাস্থলে এসেছেন, তা জানার চেষ্টা করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়।
দোয়েল চত্বর এলাকায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের মিছিলটি দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে।
ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছু দূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে।
ছাত্রলীগ-ছাত্রদল উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও রড দেখা যায়। তাঁদের হাতে ইটের টুকরাও দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর মাথায় হেলমেট দেখা যায়।
ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ার আগে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রদলকে পাল্টা ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।