রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। তবে একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হাসান হকের ছেলে সেতু ইসলাম, বাবু কসাই এর ছেলে বাবলা ও বাবলু ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ। তবে সেতু পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরে রবিউলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরদিন ১৫ এপ্রিল রবিউলের বড় ভাই শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে মেহেরচন্ডী এলাকার ছাত্রদল ও জামাত-শিবিরের কর্মী হাসান হকারের ছেলে সেতু, বাবু কসাইয়ের ছেলে বাবলা, বাবলু ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ, আব্দুল জলিলের ছেলে সাঈদ, নেজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল, এশরাম গার্ডের ছেলে নিটুল, আব্দুস সাত্তারের ছেলে রাজন, আবুল কালাম মুন্সির ছেলে সুমন, আব্দুল ওহাবের ছেলে জামিল, নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে কোয়েল, মুনসাদের ছেলে সুরুজ, মিঠুসহ ১২ জন ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাফিজ উদ্দিন। পরে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ওমর শরীফকে। তিনি এক বছরের মাথায় ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তাতে বাদী পক্ষ নারাজি দিয়ে ফের তদন্তের আবেদন করে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। পরে নিত্যপদ দাস, আশিকুজ্জামান ও রেজাউস সাদিক মামলাটি তদন্ত করেন। সবশেষ মামলার তদন্তে দায়িত্ব পান রাশেদুল ইসলাম।