নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের গণিতের শিক্ষক মামুন হোসেনকে (৩৫) সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। রোববার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রাকিব হোসেন।
জানা গেছে, প্রেমের টানে গত শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাতে ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের গণিত বিভাগের শিক্ষক মামুন হোসেন পালিয়ে যান। পরের দিন শনিবার (২৫ আগস্ট) এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেনর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাকিব হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও শিক্ষা কর্মকর্তা ও লালপুর থানার ওসি কে জানানো হয়েছে। শনিবার অনেক চেষ্টা করে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি মিটিংয়ে শিক্ষক মামুন হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেনের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বাড়ি থেকে নিয়ে পালানোর অপরাধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’