ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে হেনস্তা করার অভিযোগেরবিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে রোববার (২০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন তারা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধেনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ফারুকের শাস্তির দাবি জানায়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে হুমকি দেয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন। পরে এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্টাটাস দিলে তা মুছে ফেলতে ছাত্রলীগ নেতাদের ও ক্যাম্পাসে বড় ভাইদের ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ফারুকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে প্রায় ডজনখানেক নারীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে গিয়ে এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করলে শিক্ষার্থীদের সহপাঠীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হন অভিযুক্ত ফারুক।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্যামলী তানজিন বলেন, প্রায় ২০ জন ছাত্রীকে ফারুক অনলাইনে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ প্রস্তাব ও হেনস্থা করেছে। সকলে সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছে। অভিযোগ দেয়ার পরেও ফারুকের বিভিন্ন দাম্ভিকময় ফেসবুক স্টাটাস আমাদের ভীতির সঞ্চার করেছে। ক্যাম্পাসে ফারুক নাম শুনলেই আমাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টালবাহানা আমাদের হতাশ করেছে।
আরিয়ান জিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা আরও ‘নতুন ফারুকের’ সৃষ্টিতে উৎসাহিত করবে।
মোস্তাহাবিবুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে যে নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তা আমাদের কাছে আইওয়াশ বলে মনে হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিজেরাও জানেন না তিনি কমিটির সদস্য! উপযুক্ত প্রমাণ থাকার পরেও দোষীর শাস্তি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কালক্ষেপণ অপরাধীকে রক্ষার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয় বলেই আমরা মনে করি।
শিক্ষার্থী তন্ময় সেন বলেন, মেধাবিদের বিচরণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বখাটেদের এমন দাম্ভিকতা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনতিবিলম্বে তদন্ত করে অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর যথাযথ বিচারের জন্য আবেদন করবে।