রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ক্লাসরুমে শিক্ষাদানের পাশাপাশি দুর্বল শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে পরিচালিত হয় রিকোভারি ক্লাস ও হোম ভিজিট। রয়েছে আধুনিক বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞানাগারে পর্যাপ্ত ব্যবহারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ।
সম্প্রতি আমাদের বার্তার সঙ্গে একান্ত আলাপে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. রহমতউল্লাহ এ কথা জানিয়েছেন। আসন্ন বিদ্যালয়টিতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলছে। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর এ প্রতিষ্ঠানে একইসঙ্গে একাদশ শ্রেণিতেও ভর্তি কার্যক্রম চলবে।
কি কারণে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সকল প্রকার সহশিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ে জ্ঞানার্জন ও মনোদৈহিক উন্নয়ন সাধনের সুযোগ। চারপাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা প্রতিষ্ঠানের সুবিশাল প্রাঙ্গণ নারী শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব ও মানসিক বিকাশের জন্য নিরাপদ।
মো. রহমতউল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষিত ও মেধাবী শিক্ষকদের আন্তরিক যত্নে শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রয়েছে তিনটি বহুতল ভবন। যেগুলোতে আছে সিসিটিভি ক্যামেরাযুক্ত সুসজ্জিত ও সুপরিসর শ্রেণিকক্ষ। শেখানোর কাজকে আনন্দদায়ক করতে নিয়মিত পরিচালিত হয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস।
বিদ্যালয়টিতে পরিচালিত হয় শরীরচর্চা ও শারীরিক শিক্ষার ক্লাস। খেলার মাঠে এবং ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। আনন্দময় পরিবেশে সহশিক্ষা নিশ্চিত করতে আয়োজিত হয় শিক্ষা সফর, বনভোজন, ক্লাস-পার্টি, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, বিজ্ঞান মেলা এবং বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের বিনোদন ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।
শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ হিসেবে রয়েছে সমৃদ্ধ পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, সিসিমপুর কর্নার ও শেখ রাসেল দেয়ালিকা, শহিদমিনার, স্লিপার, দোলনা ও মুক্তমঞ্চ। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক অডিটোরিয়ামে চলে বিভিন্ন দিবসের বর্ণাঢ্য উদযাপন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতামূলক শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক প্রণোদনা করা হয় বলেও জানান অধ্যক্ষ।
তিনি আরও জানান, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে আন্তঃ ও পাবলিক পরীক্ষায় উজ্জ্বল ফলাফলের ধারাবাহিক রেকর্ড। পরিচালনায় রয়েছে শিক্ষানুরাগী, দক্ষ-অভিজ্ঞ ও নিবেদিত একটি নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ।
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, আপনার সন্তানকে এ প্লাস মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করুন এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলুন।
তিনি জানান, শ্রেণিভিত্তিক অনলাইন ও অফলাইন উভয় পদ্ধতিতেই প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে।