কেশবপুরে মঙ্গলবার দুপুরে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেদের মারপিটে ২০ ছাত্রীসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জুঁই বিশ্বাস নামের এক ছাত্রীর পা থেঁতলে দিয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ছাত্রীদের রক্ষা করতে এগিয়ে এলে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক গ্রাম পুলিশকেও মারধর করে বখাটেরা। পুলিশ এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন উপজেলার পাঁজিয়া এলাকার যুবক এখলাছ (২৬) ও খায়রুল ইসলাম (২৫)।এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৭৮ জন ছাত্রীকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য বাসে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ছাত্রীদের টিকা দেওয়া শেষে দুপুরে বাসে ফেরার পথে কেশবপুর-কলাগাছি সড়কের পাঁজিয়া এলাকায় বাসচালকের সঙ্গে বখাটেদের কথা-কাটাকাটি হলে তাঁরা গাড়ি আটকিয়ে দেন। পরে বখাটেরা বাসে ঢুকে চালককে মারধর করতে থাকলে শিক্ষকরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা শিক্ষকসহ ছাত্রীদের ওপরও চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করতে থাকেন।
কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম বলেন, বখাটেদের হামলায় বিদ্যালয়ের ছাত্রী জুঁই বিশ্বাস, ইয়াসমিন, প্রিয়া মণ্ডল, সাথি বাইন, সিনথিয়া খাতুন, রুবাইয়া খাতুন, শ্রাবণী মণ্ডল, তহমিনা খাতুনসহ ২০ ছাত্রী আহত হয়েছে। জুঁই বিশ্বাসের ডান পা ভেঙে গেছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়েছে। এ ছাড়া হামলায় বাসে ছাত্রীদের সঙ্গে থাকা শিক্ষক উজ্জ্বল বৈরাগী, মহেন্দ্র নাথ বাইন ও রাঁখি ঢালী আহত হন। হামলার সময় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ লিয়াকত আলী ঠেকাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও বখাটেরা মারপিট করে আহত করেন।
আহত গ্রাম পুলিশ লিয়াকত আলী বলেন, বখাটেদের হাত থেকে ছাত্রীদের রক্ষা করতে ছুটে গেলে বখাটেরা তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে রাস্তার ওপর ফেলে দেন। পড়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের গোঁড়ালি কেটে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে খবর পেয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে পাঁজিয়া এলাকার এখলাছ ও খায়রুল ইসলাম নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।