সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হৃদয় আহমদ নামে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছেন বখাটেরা। উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বড়টেক সড়কপথে বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয়কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের কাইকরপাড়ার আলীম উদ্দিনের ছেলে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বড়টেক সড়কপথে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার বিকালে একই গ্রামের টেকেরগাঁওয়ের উসলিম উদ্দিনের বখাটে ছেলে মুন্না মিয়া (২২) ও তার অপর কয়েক সহযোগীরা হৃদয় আহমদের পথরোধ করেন। এরপর নানা অজুহাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মুন্না ও তার অপর সহযোগীদের সহায়তায় হৃদয়কে ধারালো ছুরি দিয়ে বুক বরাবর আঘাত করা হয়।
এ সময় আত্মরক্ষায় দ্রুত সরে যেতে চাইলে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর মুন্নার সহযোগীরা কাঠ দিয়ে দ্বিতীয় দফা পিঠিয়ে তাকে সড়কে ফেলে রেখে যায়।
খবর পেয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা হৃদয়কে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
রাত সাড়ে ৮টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ফের ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রেরণ করা হয়।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ জানিয়েছেন, আহতের অবস্থা সংকটাপন্ন, ছুরিকাঘাত পিঠের মাংস দেড় ইঞ্চিভেদ করে হৃৎপিণ্ডে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে ধারণা হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
শুক্রবার তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনা জেনে তাৎক্ষণিকভাবে বখাটের এক সহযোগীকে আটক করা হয়। থানায় ঘটনার রাতেই হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে।