জবির বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফকে অপসারণ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জবির বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফকে অপসারণ

টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি, বদলি ও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নানা সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে থাকা এ কর্মকর্তাকে চারুকলা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি, বদলি ও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নানা সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে থাকা এ কর্মকর্তাকে চারুকলা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জবির বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফকে অপসারণ

জানা যায়, আলতাফ হোসেন দুর্নীতির দায়ে সদ্য অব্যাহতি নেয়া রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সংস্থাপন শাখার (কর্মচারী) দায়িত্বে থেকে টাকার বিনিময়ে কর্মচারীদের বদলি করানো, নিজের আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নিয়োগকাণ্ড নানা সময় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

  এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি বাদে শূন্য পদে ছয়জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার সময় তা পুরো ক্যাম্পাসে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ছয়জনের মধ্যে একজন হলেন লাইব্রেরি দফতরের ২০ গ্রেডের এমএলএসএস আব্দুল আলিম। তাকে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ১৯ গ্রেডের বাসের হেলপার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। 

আব্দুল আলিম সম্পর্কে কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের চাচাতো ভাই। এ নিয়োগ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া ড্রাইভার পদে আলতাফ হোসেনের বোনের স্বামী হারুণ চাকরি করছেন। তার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আতলাফ ও সাবেক রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান। এ ছাড়া জবির ডে কেয়ার সেন্টারের দৈনিক হাজিরাভিত্তিক এক নারীর চাকরি স্থায়ী করণের জন্য চার লাখ টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় তিন লাখ ফেরত দেন আলতাফ হোসেন।

এ নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা রয়েছে। সর্বশেষ গত ফেরুয়ারি মাসে জবির নিরাপত্তা শাখার গার্ড থেকে আব্দুল আলিম নামে আরেক কর্মচারীকে এমএলএসএস হিসেবে বদলির নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। তার নামে একটি লিখিত অভিযোগও দেন ওই কর্মচারী। পরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিতর্ক দেখা দেয়। এ দিকে আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।