জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিল পাস - Dainikshiksha

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাঠ্য পুস্তক মুদ্রণকারী ভুল প্রতিবেদন দিলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে পাস হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮ বিল। 

এছাড়া বোর্ড অনুমোদিত বই ছাড়া কোন বিদ্যালয়ে অন্য বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবে না মর্মে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বৈঠকে বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়। 

বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

আইনে বলা হয়েছে, এই বোর্ড প্রণীত ও প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তক ছাড়া বা বোর্ড কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে অনুমোদিত নয়, এমন কোন বই কোন বিদ্যালয়ের জন্য পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ করা যাবে না। তবে সরকার গেজেট বলে বিশেষায়িত শ্রেণির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই বিধান রহিত করতে পারবে। এছাড়া আইনে পাঠ্য পুস্তক মুদ্রণকারী, প্রকাশক, বিতরণকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা ভুল তথ্য দিলে বা তার দেওয়া প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যে কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে, তিন বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নয় সদস্যের কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড পরিচালনা করবে। 

বিলে বলা হয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত উক্ত অধ্যাদেশ অকার্যকর হয়ে গেলে আইনের আবশ্যিকতা বিবেচনায় ২০১৩ সালে জারি করা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে আইনটি কার্যকর রাখা হয়। পরবর্তীতে আইনের বিধানাবলি বিবেচনা ক্রমে সময়ের চাহিদার আলোকে আইনটি প্রণীত হয়। ২০১৬ সালে আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। ভেটিং শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশ সমূহের বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ‘ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট-বুক বোর্ড অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩’ সংশোধন ও রহিত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। আইনটিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।

কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036828517913818