ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে শূন্যপদে নিয়োগ পাওয়া সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারি শিক্ষক মোছা: মাহবুবা খাতুনকে। বিশাল অংকের লেনদেন হয়েছে মর্মে অভিযোগ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
দৈনিকশিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, ৬ষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে এমপিও না দেয়ার শর্তে অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা খুলে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। তারা হলেন: বিজ্ঞান বিষয়ের আকবর আলী ও গপেন চন্দ্র রায়। গপেনকে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ও আকবর আলীকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে এমপিওভুক্ত করা হয়। অবৈধভাবে এমপিওভুক্তির অভিযোগের তীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন এবং জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দিকে।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে শূন্য পদে নিয়োগ পেয়ে ১লা এপ্রিল স্কুলে যোগদান করেন মাহবুবা খাতুন। তিনি শূন্য পদে নিয়োগ পেলেও তাঁকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
মাহবুবা খাতুন দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, এমপিওবিহীন অবস্থায় তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বিধি মোতাবেক শূন্যপদে নিয়োগ পেয়েও তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এমপিওভুক্তির জন্য কাতর মিনতি করেছেন মাহবুবা।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন দৈনিকশিক্ষাডটকমকে সোমবার (২৭ মার্চ) বলেন, মাহবুবার নিয়োগের আগেই আকবর ও গপেনের নিয়োগ। সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষকের সংখ্যা বেশি হয়েছে তাই পদ সমন্বয় করার নির্দেশ রয়েছে ডিজি অফিসের। এটা একটা জটিল সমস্যা বটে।
অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন সোমবার (২৭শে মার্চ) দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, যে দুইজন অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ে এমপিওভুক্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো ভূমিকা ছিলো না।
জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এমপিওর কাগজ পাঠানো হতো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে।
অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার বদলি হয়ে স্কুলে চলে গেছেন।
জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের অবৈধ এমপিওভুক্তির অভিযোগ
মুরাদ মজুমদার |