ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাত শর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখার জন্য জার্মানি যেতে পারছেন না। অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভিসাসংক্রান্ত কার্যক্রম লকডাউনের আওতামুক্ত থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না। তাই ঢাকায় জার্মান দূতাবাসকে লকডাউনের মধ্যে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা এ আহবান জানান। অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্ভাগ্যক্রমে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসে ভিসা কার্যক্রম কয়েক ধাপে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল। ১৭ মে থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন সময়ে ভিসাসংক্রান্ত বিষয়ে দূতাবাসে ফোন করলে তাঁদের বলা হতো যে লকডাউনের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লকডাউন চলাকালে ভিসাসংক্রান্ত কার্যক্রমকে বিশেষ সেবার আওতায় এনে সব দূতাবাস খোলা রাখার জন্য এবং ভিসাসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়। তাঁরা আরো জানান, সরকারের এ রকম নির্দেশনার পরও শিক্ষার্থীরা লকডাউন চলাকালে দূতাবাস থেকে ভিসাসংক্রান্ত সাক্ষাৎকারের জন্য কোনো ধরনের ফোন বা ই-মেইল পাননি। এই পরিস্থিতিতে ২৫ জুলাই জার্মান দূতাবাসে ফোন করা হলে একজন শিক্ষার্থীকে জানানো হয়, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশি কর্মীরা অফিস করছেন না। তবে কনস্যুলারসহ অন্য সব জার্মান কর্মী অফিস করছেন। তাই লকডাউন শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের ভিসাসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর অন ক্যাম্পাস ক্লাস হওয়ায় অক্টোবরের মধ্যে জার্মানিতে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা দ্রুত ভিসাব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন।