জাল সনদধারী শিক্ষকদের চিহ্নিতকরণসহ শিক্ষাখাতের নানা অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা ও ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম। শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী তথা দেশের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষাবিদদের মতামত, টকশোসহ বিভিন্ন বিষয়
প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকম। দৈনিক শিক্ষাই একমাত্র পত্রিকা যারা করোনার বন্ধে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র টেলিভিশন শো ‘শিক্ষা বৈঠকী’ যৌথভাবে দেশটিভি ও দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রচার করে যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অতিথি বাছাই সবই করে থাকেন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান। তিনিই একমাত্র শিক্ষা সাংবাদিক যিনি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে একাধিকবার হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। তবু তার সহকর্মীদর নিয়ে শিক্ষাখাতের দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করেই যাচ্ছেন।আরও পড়ুন : জাল সনদধারী ১৯৩ শিক্ষকের তালিকা : পর্ব ১
কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে লক্ষ্য করছি একশ্রেণির নামধারী শিক্ষক ফেসবুক ও ইউটিউব খুলে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো কোনো সূত্র উল্লেখ বা কৃতজ্ঞতা বা অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ করে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করছেন।
বাস্তবে প্রকৃত শিক্ষকদের কাছে এ জাতীয় ফেসবুকরা ও ইউটিউবার শিক্ষকরা হাসির খোরাক। কারণ, সবাই জানেন, সাংবাদিকরা কষ্ট করে, মামলা-হামলার শিকার হয়ে তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
আর কতিপয় নামধারী শিক্ষক তা নিজেদের বলে নিজ নিজ ফেসবুকে গ্রুপে প্রচার করেন। আবার কেউ কেউ গত ১৩ বছর ধরে চলে আসা দৈনিক শিক্ষাডটকম এর নামের কাছাকাছি নাম নিয়ে ভুইফোঁড় অনলাইন খুলে সেখানের দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো চুরি করে নিয়ে ব্যবহার করছেন। এভাবে কতিপয় শিক্ষক নৈতিক ও মানসিক অপরাধ করে চলছেন।
সম্প্রতি, দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের সদস্য দৈনিক আমাদের বার্তায় জাল শিক্ষকের তালিকার প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বরাবরের মতোই কয়েকজন শিক্ষক তাদের ফেসবুক গ্রুপে তা প্রচার করছেন নিজেদের মতো করে। কোথাও বলছেন না যে এই রিপোর্ট দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ প্রকাশিত।
শিক্ষক ভাইদের আহ্বান জানাবো এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখুন। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। পেশার মর্যাদা রক্ষা করুন।
নিবেদক
মেসবাহুল ইসলাম, শিক্ষক