জাল নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্তির চেষ্টা দুই শিক্ষকের!

জাল নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্তির চেষ্টা দুই শিক্ষকের!

জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুই শিক্ষক। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অপর এক শিক্ষক বিষয়টি দুনীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানান। সে পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্ত হলে ওই দুই শিক্ষকের জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। জাল সনদধারী ওই দুই শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া

জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুই শিক্ষক। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অপর এক শিক্ষক বিষয়টি দুনীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানান। সে পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্ত হলে ওই দুই শিক্ষকের জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। জাল সনদধারী ওই দুই শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। 

ঘটনাটি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের। ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার ইংরেজির প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন ও অর্থনীতির প্রভাষক সুব্রত কর্মকার জাল সনদে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর চাকরি হারিয়েছেন। তবে, এ জাল সনদধারী দুই শিক্ষককে নিয়োগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা তলব করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সম্প্রতি তাদের নিয়োগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ-সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল এ দুই শিক্ষকের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির চেষ্টার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সভাপতির জবাব চেয়ে চিঠি পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তার একটি কপি দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে এসেছে। 

মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন ও সুব্রত কর্মকার প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শুরু থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত হয়। এরপর ওই দুই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখার একজন শিক্ষিকা বিষয়টি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ প্রত্যাহার করেন বলেও দৈনিক শিক্ষডটকমকে জানান প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রভাষক ফারজানা ও সুব্রতর এমপিওভুক্তির বিষয়ের অভিযোগটি দুদক অধিদপ্তরে পাঠালে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তাকে। ওই দুই কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন অধিদপ্তরে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই শিক্ষিকা অভিযোগ প্রত্যাহারের আগেই জালসনদধারী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়ায় কমিটির সভা করে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সভাপতির কাছে অধিদপ্তর এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা তাদের চাকরি থেকে বের করে দিয়েছি সেটাই হয়তো অধিদপ্তরকে জানানো হবে। 

জাল নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্তির চেষ্টা দুই শিক্ষকের!

জাল নিবন্ধন সনদে এমপিওভুক্তির চেষ্টা দুই শিক্ষকের!

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।