জাল সনদধারী শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা অধ্যক্ষের শাস্তি - দৈনিকশিক্ষা

জাল সনদধারী শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা অধ্যক্ষের শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী একজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করায় একটি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। জাল সনদধারী শিক্ষককে নিয়োগ, তার এমপিওভুক্তির আবেদন করে তাকে এমপিওভুক্ত করায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজের এমপিওভুক্তিই হারিয়েছেন। একই সাথে জাল সনদধারী প্রভাষকের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে। 

এমপিও বাতিল হওয়া ওই দুই শিক্ষক চাপাইনবাবগঞ্জের ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইনস্টিটিউটে কর্মরত। তারা হলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলার প্রভাষক মো. আফজাল হোসেন ও তাকে এমপিওভুক্ত করা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন। তাদের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করে আলাদা আলাদা আদেশ জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, জালসনদধারী প্রভাষক মো. আফজাল হোসেন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। জাল সনদে তিনি সাত বছর এমপিও ভোগ করেছেন। আর মো. মোশারফ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির প্রভাষক হিসেবে ননএমপিও আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং তিনি কাগজে কলমে অধ্যক্ষ বনে যান। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে তিনিও এমপিওভুক্ত হন।

অধিদপ্তরের জারি করা আদেশে জানা গেছে, চাপাইনবাবগঞ্জের ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইনস্টিটিউটের বাংলার প্রভাষক মো. আফজাল হোসেন জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে এমপিওভুক্ত আছেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাইয়ে জাল প্রমাণিত হয়েছে। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অনুমোদনক্রমে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা অনুসারে তার এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে। 

অপর আদেশে অধিদপ্তর বলেছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রভাষক মো. আফজাল হোসেনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া থাকা সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশাররফ হোসেন এমপিওভুক্তির আবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠিয়েছিলেন। তাই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা অনুসারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশাররফ হোসেনের এমপিও চূড়ান্তভাবে বতিল করা হলো। এ দুই শিক্ষকের এমপিও বাতিল ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, মো. মোশাররফ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্রে নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি পদবি সিল অধ্যক্ষের ব্যবহার করেছেন। সব কাগজপত্রেও নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দেখিয়েছেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
 
প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রভাষক আফজাল। জালসনদধারী হলেও তাকে এমপিও করান অধ্যক্ষ বনে যাওয়া মোশাররফ হোসেন। 

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দুইজন শিক্ষকের এমপিও বাতিলের বিষয়ে আদেশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037260055541992