গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া উজানী কাশালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক স্বপন কুমার বোসের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি লাভের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়া ওই ব্যক্তির অভিজ্ঞতার সনদপত্র ভুয়া জানিয়ে অভিযোগটি করেছেন স্কুলের অভিভাবক সদস্য মো. ফরিদ আহমেদ তালুকদার। চাকরি লাভের জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ নভেম্বর বাঁশবাড়ীয়া উজানী কাশালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পান স্বপন কুমার বোস। কিন্তু গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগপ্রাপ্তির জন্য যে সব সনদপত্র তিনি দেখিয়েছেন সেগুলো আসল নয় বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলের অভিভাবক সদস্য মো. ফরিদ আহমেদ তালুকদার।
দৈনিক শিক্ষাডটকমকে তিনি জানান, স্বপন কুমার বোস ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে রয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ইন লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড ইনফরম্যাশনস সাইন্সে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫৯ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার এই সনদপত্র জাল। ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই জাল সনদেই গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি।
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বপন কুমার বোসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো কাগজপত্রই ভুয়া নয়।
বাঁশবাড়ীয়া উজানী কাশালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাম্মি আক্তার বলেন, একই সময়ে আমিসহ গ্রন্থাগারিক ও বিভিন্ন পদে ৪ জনের নিয়োগ হয়। তার সার্টিফিকেট জাল কিনা আমার জানা নেই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্বপন কুমার বোসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তার কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছি। রয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রত্যয়নপত্রের বিষয়ে চিঠি লিখবো। প্রত্যয়নপত্র ভুয়া প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।