গোপন দলিলপত্র ফাঁস করে দিয়ে আলোচিত হওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেনের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি লন্ডনের অ্যাকুয়েডর দূতাবাসে সাত বছর ধরে লুকিয়ে ছিলেন।
অ্যাকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি লেনিন মোরেনো বলেছেন, তাঁর ভাষায়, আন্তর্জাতিক কনভেনশন বারবার লঙ্ঘন করার জন্য মি. অ্যাসাঞ্জ-এর আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
তবে উইকিলিকস-এর তরফে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে অ্যাকুয়েডর 'আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে' মি. অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় খারিজ করে বেআইনি কাজ করেছে।
মি. অ্যাসাঞ্জ-এর বিরুদ্ধে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে সুইডেনে দু'জন মহিলাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা ছিল, কিন্তু তা পরবর্তীতে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। মি. অ্যাসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। লন্ডন পুলিশ বলছে, আদালতে আত্মসমর্পণ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে মি. অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ক'জন সাথীকে নিয়ে চালু করেন উইকিলিকস নামের ওয়েবসাইট। এই সাইটে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন দলিলপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এই কারণে বিব্রত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর খুবই ক্রুদ্ধ হয়।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ টুইট করেছেন, "জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে আমি নিশ্চিত করছি। এবং তিনি ব্রিটেনে বিচারের মুখোমুখি হবেন।"
সাতচল্লিশ বছর-বয়সী মি. অ্যাসাঞ্জ অ্যাকুয়েডর দূতাবাস ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তার যুক্তি, বাইরে বেরুলে তাকে জোর করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে যেখানে উইকিলিকসের প্রশ্নে তাকে জেরার মুখোমুখি হতে হবে।
গোয়েন্দা পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানাচ্ছে, অ্যাকুয়েডরের রাষ্ট্রদূতের আহ্বানে দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে তারা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে। তাকে এখন মধ্য লন্ডনের এক পুলিশ থানায় রাখা হয়েছে।
এরপর তাকে ''যত দ্রুত সম্ভব ম্যাজিসট্রেট'' আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ বলছে।